৩০.১২.২০১৮
৩১.১২.২০১৮

এক মাস আগেও করফার্ম ছিলাম না আমি আদৌ দেশে যেতে পারবো কি না। যদিও বাৎসরিক ছুটির ৩৫ দিন এখনও বাকী এবং ছুটি দিতেও কতৃপক্ষের বাধা নেই তবে বাদ সেধেছিলো ৩১ ডিসেম্বর যা কিনা রেড ডে (Red day) অর্থাৎ সেদিন কেউ ছুটি থাকতে পারবেনা। যাই হোক, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার কাছে লিখিত জানালাম ঐ একদিনের ফ্যাকড়ার কারনে আমার পুরো হলিডে প্ল্যান গড়বড় হয়ে যাচ্ছে যা কিনা আমানবিক। সকল উৎকন্ঠার অবসান ঘটিয়ে আমাকে রেড-ডে তে অফ্ দেয়া হল, আর পায় কে?

দেরী না করে বাংলাদেশ বিমানের টিকেট কাটলাম। ডাইরেরক্ট ফ্লাইট, যত আগে পৌঁছা যায় তত লাভ, এক সেকেন্ড বেশীও যদি দেশে থাকা যায় সেটাও বড় লাভ।

এয়ারপোর্টে এগিয়ে দিতে এই ঠান্ডায় কষ্ট করে অনেক দুর থেকে দিপু এসেছিলো। সাথে ছিলো নীল, দিপুর ছেলে। যাবার আগে এয়ারপোর্টে সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম আমরা। সবচেয়ে বেশী খুশী তাসনুভা, নীলদা কে পেয়ে।

প্রায় সাড়ে নয় ঘন্টা একটানা ফ্লাই করার পর সিলেটের প্যাসেঞ্জারদের নামানোর জন্য প্লেন যখন ওসমানী এয়ারপোর্টে নামলো, বাইরে তখন গণগনে রোদ। সুযোগমত উঁকি দিয়ে চোখ ধাঁধানো গরম রোদেলা দিন দেখার লোভ সামলাতে পারিনি। ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ, পৌষ মাস হবার কথা অথচ যেন বসন্তের শেষে গ্রীষ্মের আগমনি আবহাওয়া।

সিলেট থেকে ঢাকা আসতে আধ ঘন্টাও লাগেনা। আহ্ . . . দেশ আমার দেশ।

কিন্তু আধঘন্টা এত দীর্ঘ লাগে কেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Post comment