নাইন–ইলেভেন মেমোরিয়াল
নাইন–ইলেভেন মেমোরিয়ালের অফিশিয়াল নাম দ্য সেপ্টেম্বর ইলেভেন মেমোরিয়াল এন্ড মিউজিয়াম।
২০০১ সালের সেপ্টেম্বরের এগারো তারিখ পর পর দুটো প্যাসেঞ্জার বিমান নিউ ইয়র্ক সিটির প্রানকেন্দ্র গ্রিনীচ স্ট্রীট সংলগ্ন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের পাশাপাশি দুটো ভবনে সরাসরি আঘাত করে পরে সেগুলো পুরোপুরি গুড়িয়ে যায়।
আমেরিকান এয়ারলাইন্সএর একটি বোয়িং সেভেন–সিক্স–সেভেন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের প্রথম ভবনের (WTC-1) ৯৪–৯৮ তলার মাঝামাঝি আঘাত করে স্থানীয় সময় সকাল ০৮:৪৬ এ। সতের মিনিট পর অর্থাৎ ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের আরেকটা বোয়িং সেভেন–সিক্স–সেভেন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দিত্বীয় ভবনের (WTC-২) ৭৮–৮৪ তলার মাঝামাঝি আঘাত করে। একদম একররম দেখতে দুটি ভবনের উচ্চতা প্রায় ১০৪ তলা।
আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যে পুরো এলাকা গ্রাস করে ফেলে। এক পর্যায়ে দুটো ভবনই ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়।
স্বরণকালের অন্যতম, জঘন্য এবং ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হারিয়ে যায় প্রায় তিন হাজার মানুষের মহামূল্যবান জীবন, আহত হয় ছয় হাজারেরও বেশী। আর ঠিক সেই মুহুর্তের আর্থিক ক্ষতি হয় দশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
নৃসংস, বর্বরোচিত এই হামলায় সারা বিশ্বের মানুষ স্তম্ভিত হয়ে পড়ে।
যে কোন অজুহাতে নিরপরাধ মানুষ হত্যা হারাম। ওটা জেহাদ ছিলোনা, ওটা ছিলো কাপুরুষোচিত গণহত্যা।
সি আই এ’র বিদ্রোহী এজেন্ট জন্মসূত্রে সৌদি নাগরিক ওসামা বিন লাদেনকে এর মুল হোতা বলে দাবী করা হলেও আজ পর্যন্ত ওয়েষ্টার্ণ পণ্ডিতেরা এর পক্ষে কোনো সাদাকালো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।
তর্ক আসবে তর্ক যাবে। নিরীহ প্রাণগুলো কখনো জানবেনা কি ছিলো তাদের অপরাধ।